মোঃ মাসুদ রানা রাশেদ ও হেলাল হোসেন কবির:
লালমনিরহাট জেলার লালমনিরহাট সদর উপজেলার বড়বাড়ি বাজারের খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নেয়া ৯০বছরের বৃদ্ধা মাকে রাস্তায় ফেলে গেছে ছেলে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস ভাইরাল হতে দেখা গেছে এবং উক্ত ফেসবুকের সূত্র ধরে সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইনে “মাকে রাস্তায় ফেলে গেছে ছেলে : ফেসবুকে ভাইরাল” ৭ জুলাই, ২০২০ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
আজ বুধবার ৮ জুলাই লালমনিরহাট পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা-এঁর হস্তক্ষেপে দুপুরে বৃদ্ধাকে কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট ছিনাইয়ের মহিদরখন্ড ক্ষেত্র গ্রামে তার দিন মজুর ছেলে জহুরুল হকের বাড়িতে রেখে আসা হয়েছে।
বৃদ্ধা তহিরণের (৯০) বয়সের ভারে নতজানু। কিছুটা মানুষিক প্রতিবন্ধি। বৃদ্ধার ছেলে ও ছেলের বউ বৃদ্ধাকে আদর যত্ন করে। কিন্তু বৃদ্ধা কোন অবস্থাতে বাড়িতে থাকে না। সে ভবঘুরে জীবন বেচে নিয়েছে। ভিক্ষাবৃত্তিকে পেশা হিসেবে নিয়েছে। মাকে ফিরে পেয়ে পরিবারটি খুব খুশি।
এ সময় লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মাহফুজ আলম, বড়বাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা ইয়াছিন আলী মোল্লা, ছিনাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান হক বুলু, রাজারহাট থানার দুই পুলিশ কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
লালমনিরহাট পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা বৃদ্ধা মায়ের পরিবারকে নগদ ১হাজার টাকা আর্থিক সহযোগিতা করেছে।
ছিনাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান হক বুলু জানান, পরিবারটি দরিদ্র কিন্তু মাকে তারা আশ্রয়ে রাখতে চায়। মার কিছু মানুষিক সমস্যা থাকায় বাড়িতে রাখতে পারে না। সে নিজ ইচ্ছায় ভবঘুরে ও ভিক্ষাবৃত্তি পেশা বেচে নিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এই বৃদ্ধার জাতীয় পরিচয়পত্র নেই। ফলে বৃদ্ধা ভাতা বা প্রতিবন্ধি ভাতা দেয়া সম্ভব হয়নি। এখন নতুন করে জাতীয় পরিচয় পত্র তৈরি করে খুব দ্রুত প্রতিবন্ধি ভাতার ব্যবস্থা করা হবে।
উল্লেখ্য যে, মঙ্গলবার ফেসবুকে বৃদ্ধার ছবি দিয়ে জেলা পুলিশ সুপারের দৃষ্টি আকর্ষন করা হয়েছিল। এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। উক্ত ফেসবুকের সূত্র ধরে সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইনে “মাকে রাস্তায় ফেলে গেছে ছেলে : ফেসবুকে ভাইরাল” ৭ জুলাই, ২০২০ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। উক্ত প্রতিবেদনটির সূত্র ধরে বৃদ্ধার পরিচয় মিলে ও ছেলের কাছে আশ্রয় পেয়েছে।